সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলা: নিহত বেড়ে ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে গতকাল সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১১ জন হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর-আইআরজিসি) কয়েকজন সদস্যও আছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। আইআরজিসি বলেছে, হামলায় তাদের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল বলেছে, ওই হামলার খবরের ব্যাপারে তারা কোনো মন্তব্য করবে না। তবে ইরানি কর্মকর্তারা এ ঘটনায় কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

গাজায় চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ইসরায়েলের সঙ্গে ইরান ও মিত্রদেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সোমবারের ঘটনার পর এ উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আইআরজিসি বলছে, হামলায় তাদের যে সাত সদস্য নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা জাহেদি ও উচ্চপর্যায়ের আরেকজন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি আছেন।

সিরিয়ান অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান এএফপিকে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন ইরানের, দুজন সিরিয়ার ও একজন লেবাননের নাগরিক। তাঁরা সবাই যোদ্ধা, কেউই বেসামরিক নাগরিক নন।

সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি দূত হোসেন আকবরি অবশ্য নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও কম বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিমান থেকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলায় পুরো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ভবনের ভেতর যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই হতাহত হয়েছেন। মৃতদেহগুলো উদ্ধার ও আহত ব্যক্তিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার কাজ চলছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় আইআরজিসির বৈদেশিক অভিযান শাখা কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রেজা জাহেদিও নিহত হয়েছেন।

অবজারভেটরি বলেছে, ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননে কুদস ফোর্সের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন জাহেদি। হামলায় তাঁর উপকমান্ডার, তাঁর সহযোগী ও কুদস ফোর্সের চিফ অব স্টাফও নিহত হয়েছেন। আইআরজিসির আরও দুই সদস্য ও দুই ইরানি উপদেষ্টাও নিহত হয়েছেন এ হামলায়।

হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া ভবনটি ইরানি দূতাবাসের পাশে অবস্থিত। এর সামনের অংশে কাসেম সোলাইমানির একটি বড় ছবি লাগানো। সোলাইমানিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক কর্মকাণ্ডের স্থপতি বলা হয়ে থাকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হন।

Related posts

Leave a Comment